বিনোদন ডেস্ক :কদম আলী নামে এক ভদ্রলোকের উপর, ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে, কদম আলী গাছে নীচে চাপা পড়ে,সে চিৎকার….. করে তাকে বাঁচাতে। এলাকাবাসী কুড়াল, খুন্তী, দা নিয়ে দৌড়ে আসে। গাছে কোপ দিতে যাবে, এসময় একজন বললো, “এটা বনবিভাগের গাছ। তাদের অনুমিত ছাড়া গাছ কাটা যাবেনা।” সেখানে মিটিং হল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হল, দরখাস্ত লিখা হবে। সে দরখাস্ত বন বিভাগের অফিসে নিয়ে যাবে অনুমোদন পেতে। এদিকে কদম আলী গাছের চাপায় মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। সমাজের লোকজন তাকে ধমকে উঠলো, “ ঐ মিয়া, আমরা কি বসে আছি? তোমার জন্যই তো সবাই কাজ করছি।”
এর পরের ঘটনা আরো করুন। বন বিভাগে দরখাস্ত জমা দিলে তারা তদন্ত কমিটি করলো। সে কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করতে আসলো। তখনো কদম আলী গাছের নীচে মরণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর বলছে, “আগে আমাকে বাচান।” বন বিভাগের লোকজন আরো গরম হয়ে বললো, ” ঐ মিয়া চিল্লাও কেন? আমরা তো ঘরে বসে নেই। এই ঝড়ের দিনেও শুধু তোমার জন্য এখানে আসলাম। তোমাকে উদ্ধারের অফিসিয়াল প্রসেস চালাচ্ছি। চিল্লাইবা না।”
যাই হোক, বন বিভাগ রিপোর্ট নিয়ে তাদের অফিসে গেল। ফাইল বনবিভাগের কর্তার সামনে গেল। তিনি খানিক ক্ষন ভেবে বললেন, আরে, এটা তো আমার কাজ নয়। ঝড়ে গাছ পড়েছে মানে হল, এটা অপসারন করা এখন ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজ।
ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাছে খবর পৌছানো হল। তারা আবার সরেজমিন তদন্ত করলো। রিপোর্ট গেল অফিসে। কর্তার সামনে গেলে তিনি কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, “তোমরা কি তদন্ত করেছো? তোমরা কি জান, এই গাছ বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এদেশ সফরে এসে সম্প্রীতি স্মারক হিসেবে লাগিয়েছিল??তাদের অনুমতি ছাড়া এ গাছ কাটলে আন্তর্জাতিক আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিপন্ন হতে পারে?
এদিকে কদম আলী মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, আর বলছে তাকে উদ্ধার করতে। উপস্থিত কর্তারা তাকে শাসাচ্ছে আর বলছে, “তুমি কি জানো, শুধু তোমাকে উদ্ধার করতে কত লোক, কত বিভাগ কাজ করছে??”
অপরদিকে ফাইল রেডি করা হল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রিটিশ এম্বাসি হয়ে ফাইল গেলো বৃটিশ মন্ত্রণালয়ে। তিনমাস পর গাছ কাটার অনুমোদন সহ ফাইল এলো। তততিনে কদম আলীর হাড় গোড় ও অবশিষ্ট নেই!
আসুন আমরা কদম আলী মৃত্যর জন্য দায়ী লোকদের কর্তব্য পালনে জোড়ালো ভূমিকার জন্য হাততালি দিই।
Khaled Saifullah এর ফেসবুক একাউন্ট থেকে সংগৃহীত।